রিপোর্টার:- আবির হাসান পারভেজঃ
মাদারীপুরের কালকিনিতে প্রতিপক্ষের হামলায় বসতবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় একজন আহত হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে ২জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন খলিল হাওলাদার(৬৫) ও তার ছোট ছেলে সুজন হাওলাদার(২২)। শুক্রবার দুপুরে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময়ে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয় স্বতন্ত্র (ঈগল) প্রার্থীর সর্মথক শোভা বেগম। পরে আহত শোভা বেগম এর স্বামী আঃ করিম হাওলাদার বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার সকালে মাদারীপুর কোর্টে সেই মামলার বিবাদীদের সাথে বাদি আঃ করিম হাওলাদারের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে কালকিনি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিন ঠেঙ্গামারা গ্রামে প্রতিপক্ষ খলিল হাওলাদার ও তার ছেলে উজ্জল হাওলাদারের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন লোকজনসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রহিম হাওলাদার ও শাজাহান হাওলাদারের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট করে। এসময় ঘরে থাকা দুলুফা বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে। এসময়ে রহিম হাওলাদার ও শাজাহান হাওলাদারের ঘরে থাকা ৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৪ লক্ষাধীক টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে য়ায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রহিম হাওলাদার কালকিনি থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার দুপুরে খলিল হাওলাদার(৬৫) ও তার ছোট ছেলে সুজন হাওলাদার(২২) কে গ্রেফতার করে।
আহত দুলুফা বেগম জানান, খলিল হাওলাদারের হুকুমে ১০ থেকে ১৫ জন হামলা চালিয়ে ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করে। ঘর থেকে দামী সবকিছু নিয়ে গেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
ভুক্তভোগী শাজাহান হাওলাদার জানান, আমরা নৌকার নির্বাচন করায় আমাদের উপর এমন হামলা চালাইছে। আমার ঘরের সবকিছু কুপিয়ে তছনছ করছে । টাকাপয়সা সোনা যা ছিল সব নিয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাই।
কালকিনি থানার ওসি সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, হামলা ও লুটপাটের ঘটনার মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতার করা হবে।